Breaking News

ঝগড়া না করায় স্বামীকে ডিভোর্স

মুম্বইয়ের এক আইনজীবী সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার অদ্ভুত সব যুক্তি প্রকাশ করেছেন। তাঁর কাছে ওই সব যুক্তি নিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের একাধিক মামলা এসেছে। কেউ বলেন, স্বামী ঝগড়া করেন না। ‘অতিরিক্ত’ ভালবাসেন। কারও আবার অভিযোগ, স্ত্রী রান্না করতে পারেন না। বিবাহবিচ্ছেদের অদ্ভুত কিছু যুক্তি প্রকাশ্যে আনলেন মুম্বইয়ের এক আইনজীবী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের কারণের একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কাছে ওই সমস্ত যুক্তি দেখিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা এসেছে।

ওই আইনজীবীর নাম তানিয়া অপ্পাচু কল। ইনস্টাগ্রামে তিনি যে ভিডিওটি শেয়ার করেছেন, তা ভাইরাল। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তাঁর কাছে এক তরুণী এসে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী তাঁকে ‘অতিরিক্ত ভালবাসেন’। কিছুতেই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয় না। এতে জীবন একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। তাই তিনি বিবাহবিচ্ছেদ চান।

আর এক যুবকের কথা বলতে গিয়ে আইনজীবী জানিয়েছেন, বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে তাঁর স্ত্রীর সাজগোজ, পোশাক ভাল লাগেনি। স্ত্রী নাকি অশ্লীল জামাকাপড় পরেছিলেন। তাই যুবক বিবাহবিচ্ছেদ চান। বিয়ে ভাঙতে চেয়ে এক তরুণীর দাবি, তাঁর স্বামী ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সারা দিন পড়াশোনা করেন। তাই স্ত্রীকে সময় দেন না একেবারেই। সেই কারণে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়েছেন তরুণী।

ওই আইনজীবীর কাছে বিবাহবিচ্ছেদের আরও কিছু অদ্ভুত যুক্তি রয়েছে। এক যুবক বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, স্ত্রী তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে চাননি। তাই তাঁর সঙ্গে তিনি সংসার করতে পারবেন না। আর এক যুবকের যুক্তি ছিল, তাঁর স্ত্রী রান্না করতে পারেন না। রোজ অফিসে না খেয়ে যেতে হয় তাঁকে। এ ভাবে সংসার টানতে তিনি পারবেন না বলে জানান।

বিবাহবিচ্ছেদের এই যুক্তিগুলি দেখিয়ে ভিডিয়োতে আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছেন, যাঁরা এই সব কারণে বিচ্ছেদ চাইছেন, তাঁরা বিয়েটাই বা করেছেন কেন? ভিডিয়োর নীচে নানা জনে নানা মন্তব্য করেছেন। নেটাগরিকেরা অনেকেই বিয়ে ভাঙতে চাওয়ার নানা রকম কারণ শুনে অবাক হয়েছেন। অনেকে মজা পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার স্বল্পস্থায়ী বিয়ে নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন। সূত্র – আনন্দবাজার, এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *