বাংলা ৬ সিনেমায় বাস্তবেই সহবাস করতে হয়েছে নায়ক-নায়িকার

সিনেমা মানেই গল্প আর অভিনয়ের মেলবন্ধন। তবে দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণে অনেক সময় নির্মাতারা সাহসী দৃশ্যের আশ্রয় নেন। বাংলা চলচ্চিত্রেও রয়েছে এমন কিছু সিনেমা, যেগুলোতে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক। এসব সিনেমার মধ্যে কিছু দৃশ্য বাস্তবতাকে এতটাই স্পর্শ করেছে যে, তা নিয়ে দর্শকের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতূহলের ঝড়।

চলুন দেখে নিই এমন কিছু আলোচিত বাংলা সিনেমা:

 

 

বাউল দর্শনের ভাবনায় নির্মিত এই সিনেমায় আত্মা ও শরীরের সম্পর্ককে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এক বিশেষ দৃষ্টিকোণে। পরিচালক অমিতাভ চক্রবর্তীর ছবিতে রি’র অভিনয় ছিল ব্যতিক্রমী ও সাহসী।

 

 

শ্রীলঙ্কান নির্মাতা ভিমুক্তি জয়াসুন্দর পরিচালিত এই ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল। পাওলি দামের একটি ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ফাঁস হওয়ার পর তা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। সাহসী উপস্থাপনার কারণে ছবিটি দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল।

 

 

মৈনাক ভৌমিক পরিচালিত এই ছবি মূলত সম্পর্কের জটিলতা ও মানসিক টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে তৈরি। তবে এর কিছু ঘনিষ্ঠ দৃশ্যও তীব্র আলোচনার জন্ম দেয়। অভিনয়ে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়, পাওলি দাম, পার্নো মিত্র প্রমুখ।

 

 

রাজ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৈরি এই ছবিতে নারীর মনস্তত্ত্ব এবং যৌনতা নিয়ে এক ভিন্নধর্মী দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের সাহসী অভিনয় সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ায়।

 

 

ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় এই সিনেমায় ঊনবিংশ শতাব্দীর সমাজব্যবস্থা ও নারীর অবস্থান নিয়ে নির্মিত এক শক্তিশালী চিত্রনাট্য দেখা যায়। সাহসী দৃশ্য থাকলেও শিল্পগুণের কারণে ছবিটি প্রশংসিত হয়। অভিনয়ে ছিলেন সোহা আলি খান, জ্যাকি শ্রফ ও অভিষেক বচ্চন।

 

 

এই ছবি মুক্তির আগেই বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে এর অতিরিক্ত খোলামেলা দৃশ্যের কারণে। অনেক দর্শক হলে বসে থাকতে পারেননি। তবুও ছবির নির্মাণশৈলী ও ভিন্নধর্মী প্রকাশভঙ্গি একে করেছে অনন্য।

এই ছবিগুলোর সাহসী উপস্থাপনা যেমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, তেমনি চলচ্চিত্রশিল্পে নতুন এক প্রশ্নও তুলেছে—শিল্পের প্রয়োজনে সাহস কতদূর যেতে পারে? তবে এক কথায় বলা যায়, এসব ছবির পেছনে ছিল না শুধুই দৃশ্যের ঝলক, বরং ছিল গভীর বার্তা ও চিন্তার খোরাক।