শৌচাগারে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করার বিপাকে জনপ্রিয় অভিনেতা
ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার জনপ্রিয় টিভি অভিনেতা! টিভির পরিচিত মুখ আশিস কপূরকে (Ashish Kapoor) ধর্ষণের মামলায় পুণে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগকারিণীর অভিযোগ, একটি হাউজ পার্টিতে অভিনেতা আশিস কপূর শৌচাগারে তাঁর সঙ্গে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। অভিযোগকারিণী ও আশিস উভয়েই উপস্থিত ছিলেন একটি হাউজ পার্টিতে। সেখানেই অভিনেতা শৌচাগারে গিয়ে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। এই ঘটনা ঘটার পরে, গত ১১ অগাস্ট আশিস কপূরের নামে এফআইআর দায়ের করেন অভিযোগকারিণী। সেই থেকেই অভিযুক্ত অভিনেতার খোঁজ চলছিল। অবশেষে তাঁকে পুণে থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, সিভিল লাইনস থানায় এই অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এরপরেই পুলিশ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করেছিল, অবশেষে অভিনেতাকে গ্রেফতার করা হয় পুণে থেকে। এফআইআরে শুরুতে আশিস কাপূর, তাঁর বন্ধু, বন্ধুর স্ত্রী এবং আরও ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম ছিল। পরে অভিযোগকারিণী তাঁর বয়ান বদল করে জানান, শুধুমাত্র আশিস কপূরই তাঁর সঙ্গে ধর্ষণ করেছে। এখানেই শেষ নয়, অভিযোগকারিণীর দাবি, তাঁর সঙ্গে আশিস কপূরের আলাপ হয়েছিল ইনস্টাগ্রামে। সেই ঘটনার ভিডিওগ্রাফি পর্যন্ত করা হয় বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারিণী। তবে এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই ধরণের কোনও ভিডিও পায়নি। অভিযোগকারিণীর অভিযোগ, বাথরুম থেকে বের হওয়ার পরে আশিস কাপূরের বন্ধুর স্ত্রী তাঁকে মারধর করেন। পুলিশের মতে, আশিস কাপুরের বন্ধুর স্ত্রীই PCR কল করেছিলেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১১ অগাস্ট মামলা দায়ের হয়। এফআইআরে শুরুতে আশিস কাপূর, তাঁর বন্ধু, বন্ধুর স্ত্রী এবং আরও ২ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম ছিল। ১৮ অগাস্ট আরও একটি মামলা দায়ের করেন ওই অভিযোগকারিণী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, আশিস কপূর কেবল ধর্ষণ করেছেন। তাঁর বন্ধুর স্ত্রী অভিযোগকারিণীকে মারধর করেছেন। যদিও ২১ আগস্ট, আশিস কপূরের বন্ধু এবং তার স্ত্রীকে আগাম জামিন দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজ ও সাক্ষীদের বয়ান থেকে জানা গিয়েছে, আশিস কপূর ও সেই মহিলা একইসঙ্গে শৌচাগারে প্রবেশ করেছিলেন। তারপরে তাঁরা অনেকক্ষণ বেরোচ্ছেন না দেখে, অতিথিরা দরজায় ধাক্কা মারতে শুরু করেন। এরপরে একটি ঝগড়া হয়। অভিযোগকারিণীর দাবি, সেই ঝগড়ার মধ্যেই আশিস কপূরের বন্ধুর স্ত্রী তাঁকে মারধর করেছেন।