সুমাইয়া ও তার মায়ের মৃত্যুতে নতুন মোড়, সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল

সুমাইয়া ও তার মায়ের মৃত্যুতে নতুন মোড়, সিসিটিভি ফুটেজে যা দেখা গেল
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীর ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত সুমাইয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী এবং তার মা তাহমিন বেগম মৃত শামসুল হকের মেয়ে। তার স্বামী মৃত নুরুল ইসলাম কুমিল্লার আদালতের সাবেক হিসাবরক্ষক ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তাহমিন বেগম দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করছিলেন।

জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে বাসাটি ভাড়া নেন সুমাইয়ার বাবা নুরুল ইসলাম। গত বছর তার মৃত্যুর পর মায়ের সঙ্গে ওই বাসায় থাকতেন সুমাইয়া। রোববার রাতে তার দুই ভাই ঢাকা থেকে বাসায় আসলে ঘরের দরজা খোলা দেখেন। প্রথমে তারা ধারণা করেন তাদের মা ও বোন ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ে তাদের সাড়া-শব্দ না পেলে কাছে গিয়ে নিশ্চিত হন, তারা মৃত।

প্রথমে তাদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ধোয়াশা তৈরি হলেও পরবর্তীতে পাশের স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসার পর নতুন দিকে মোড় নেয়। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রোববার সকাল ৮টা ৮ মিনিটে মাথায় টুপি ও পাঞ্জাবি-পায়জামা পরিহিত এক অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে তাকে একবার বের হতে দেখা যায়, তবে ১২ মিনিট পরই তিনি আবার ভেতরে ঢোকেন। এরপর দুপুর ১টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত আর বের হতে দেখা যায়নি। এরপর স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে সিসিটিভি ক্যামেরাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পরবর্তীতে তিনি কখন বের হয়েছেন তা ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজসহ সব আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। তবে, প্রাথমিক তদন্তে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড মনে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, নিহত ব্যক্তিদের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। মেয়েটির গলায় একটি দাগ দেখা গেছে। আর মায়ের একটি চোখ রক্তাক্ত ছিল। অবস্থা দেখে ধারণা করা হচ্ছে তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমরা পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *