এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের সবশেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। গত ১০ জুন ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই ম্যাচে সিঙ্গাপুর যে মানের ফুটবল খেলেছে, তাদের কাছে হামজা চৌধুরী-সমিত সোমদের হার দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন সবাই।
ঘরের মাঠে এমন অসহায় পরাজয়ের পর বেশির ভাগ সমর্থকই কাঠগড়ায় তুলেছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেমন কাবরেরা হটাও রব উঠেছে, তেমনি বাফুফে নির্বাহী কমিটির এক সদস্যও সেই সুরে প্রকাশ্যে কথা বলেছেন।
নানা দিকের সমালোচনায় ধারণা করা হয়েছিল, দ্রুতই হয়ত কোচ কাবরেরাকে বরখাস্ত করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তবে এ মুহূর্তে সেই পথে হাঁটছে না ফেডারেশন। আগামী ৯ ও ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচ পর্যন্ত টিকে যাচ্ছেন এ স্প্যানিয়ার্ড।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, কাবরেরাকে ছাঁটাই করে এখনই বিপদে পড়তে চায় না ফেডারেশন। নতুন একজনকে চূড়ান্ত করার পরে কাবরেরাকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট তাবিথ আওয়াল। তাই হংকং ম্যাচ পর্যন্ত এই কোচ থাকবেন।
হামজা চৌধুরী, সমিত সোম, ফাহমিদুল ইসলামের মতো উঁচুমানের ফুটবলার থাকা সত্ত্বেও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া করতে গিয়ে সাবেক ফুটবলাররা কাবরেরার ট্যাকটিস নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
বিশেষ করে উইঙ্গার রাকিব হোসেনকে নাম্বার নাইনে খেলানোয় কোচের কৌশলের সমালোচনা করেছেন অনেকে। ম্যাচের শেষ দিকে একের পর এক কর্নার আদায় করার পরও সেট পিস স্পেশালিস্ট নিয়মিত অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে মাঠে না নামানোর যুক্তি খুঁজে পাচ্ছিলেন না ফুটবলবোদ্ধারা।
সমালোচনায় জেরবার ক্যাবরেরা ম্যাচের পরদিন স্পেনে চলে যাওয়াটাও ভালোভাবে নেয়নি বাফুফের একটি অংশ। ক্যাবরেরার ছুটি নিয়ে দ্বিমত থাকলেও সিঙ্গাপুর ম্যাচে তার দলকে খেলানোর কৌশল যে ভুল ছিল, তাতে একমত ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা। ক্যাবরেরার ওপর বলতে গেলে সবাই ক্ষুব্ধ।
সবাই এতটুকু বুঝতে পেরেছেন, সিঙ্গাপুরের খেলার কৌশল ধরতে পারেননি কাবরেরা। তাই বলে তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছেন না তারা। সিঙ্গাপুর ম্যাচে কাবরেরার কৌশলে কী ভুল ছিল আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তুলে ধরার কথা বাফুফে টেকনিক্যাল কমিটির। তখনই মূলত কাবরেরার ব্যাপারে একটা ধারণা পাবে ফেডারেশন।