সর্বশেষ

শ্রীলঙ্কাকে লজ্জায় ডুবিয়ে ২৫ বছরের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে নতুন বিশ্বরেকর্ড টাইগারদের

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আগে ব্যাট করে শুরুতে লিটন দাসের ফিফটি, শামীম পাটোয়ারীর ঝড়ো ইনিংস। পরে বোলিংয়ে শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেনদের ঝলক। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ। ৮৩ রানের জয়ে সিরিজে ফিরলো ১-১ সমতা।

ডাম্বুলায় আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ করেছে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। ৫০ বলে লিটনের ব্যাটে ৭৬ রান। শামীম খেলেছেন ২৭ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। তাওহিদ হৃদয়ের ২৫ বলে ৩১ রান।

জবাবে টাইগার বোলারদের তোপে ৯৪ রানেই গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। রিশাদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন, ২ টি করে শিকার শরিফুল, সাইফউদিনের। রানের হিসেবে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানের জয়।

লিটন-শামীমের ব্যাটে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ১৭৭ রান

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের বোলারদের তোপে যাচ্ছে তাই অবস্থা হয়েছে লঙ্কান ব্যাটারদের। শুরুটা কুশল মেন্ডিসের (৮) রান আউট দিয়ে।

এরপর শুধু আসা যাওয়ার মিছিল চলেছে। শরিফুল, রিশাদ, সাইফউদ্দিনদের তোপে ৩০ রানে ৪ ও ৭৩ রানে হারায় ৭ উইকেট।

এক পাশে আশা দেখিয়েও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি পাথুম নিশাঙ্কা। ২৯ বলে ৩২ রান আসে তার ব্যাটে। ১৬ বলে ২০ রান দাসুন শানাকার।

তবে এতে হারের ব্যবধান কমা ছাড়া আর কোনো লাভ হয়নি স্বাগতিকদের। ৯৪ রানে অলআউট হয়ে হারতে হয়েছে ৮৩ রানের ব্যবধানে।

১৮ রান খরচায় ৩ উইকেট রিশাদের। শরিফুল, সাইফউদ্দিন ভাগাভাগি করেছেন ২ টি করে উইকেট। ১ টি করে ভাগাভাগি মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। লিটন ৫০ বলে ৭৬ ও শামীম ২৭ বলে ৪৮ রান করেছেন।

৭ রানেই ২ ওপেনার পারভেজ হোসেম ইমন (০) ও তানজিদ হাসান তামিমকে (৫) হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে লিটন দাস ও তাওহিদ হৃদয় মিলে ৫৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন। ২৫ বলে ৩১ রান করে ফিরে যান হৃদয়।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে আসেনি ৩৯ রানের বেশি। ১০ ওভার শেষে স্কোরবোর্ডে ওঠেনি ৬৯ রানের বেশি।

লিটন এক পাশে টিকে থাকলেও খেলেছেন টি-টোয়েন্টি বিরুদ্ধ ইনিংস। মিরাজ ব্যাটিংয়ে এসে টিকলেন ২ বল, করতে পারেননি ১ রানের বেশি।

শামীম পাটোয়ারিকে নিয়ে এরপর দলকে টেনে নেওয়ার পথে ৩৯ বলে ফিফটি তুলে নেন লিটন। ক্যারিয়ারের ১২তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি টাইগার দলপতির।

ফিফটির পর অবশ্য খোলস ছেড়ে বেরিয়ে খেলেছেন। দারুণ সঙ্গ পেয়েছেন শামীমের কাছ থেকে। দুজনে ৩৯ বলের জুটিতে ৭৭ রান যোগ করেন।

জুটি ভাঙে ৫০ বলে ১ চার ৫ ছক্কায় ৭৫ রান করে লিটন আউট হলে।

লিটন আউট হলেও শামীমকে থামানো যাচ্ছিলো না। তবে ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে জাকের (৩) ও শামীম দুজনেই রান আউট হয়েছেন। আউটের আগে ২৭ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় ৪৮ রান শামীমের ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেমেছে ৭ উইকেটে ১৭৭ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *