সর্বশেষ

৯ বছর’ পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ যে রেকর্ড করল

টি-টোয়েন্টিতে মূল দলের লড়াইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দীর্ঘ নয় বছরের জয়খরা কাটাল বাংলাদেশ। তুলনামূলক বোলিং সহায়ক পিচে মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষকে মাত্র ১১০ রানে গুটিয়ে দেয় টাইগাররা। এরপর ম্যাচসেরা পারভেজ হোসেন ইমনের অপরাজিত ফিফটিতে ৩ উইকেট খুইয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় তারা।

প্রায় নয় মাস পর হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলতে নামে রোববার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয়ে ফেরার উপলক্ষ রাঙায় তারা। এতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে **লিটন দাসের** দল।

মূল দলের লড়াইয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে এর আগে সবশেষ হারিয়েছিল ২০১৬ সালে এশিয়া কাপে। মাঝে ২০২৩ সালে চীনে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে তারা জিতলেও সেখানে দুই দেশের দ্বিতীয় সারির দল অংশ নিয়েছিল। সব মিলিয়ে ২৩ বারের দেখায় পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের চতুর্থ জয়। এশিয়ান গেমসের ওই ম্যাচটি বাদে বাকি তিনটিই এলো মিরপুরের মাঠে।

কদিন আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ফেরা বাংলাদেশের বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে এই ম্যাচে। সেগুলো দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে এই প্রথম অলআউট করতে পারল বাংলাদেশ। শেষ ৩ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯.৩ ওভারে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। আগের ২২ ম্যাচের একটিতেও তাদের ৭ উইকেটের বেশি ফেলতে পারেনি টাইগাররা।

* এই সংস্করণে পাকিস্তানকে নিজেদের বিপক্ষে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরে বেঁধে ফেলতে পারল বাংলাদেশ। আগের নজিরটিও ছিল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। ২০২১ সালে সফরকারীরা পুরো ২০ ওভার খেলে করেছিল ৫ উইকেটে ১২৭ রান।

* ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ করে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের কোনো বোলারের সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড গড়লেন মোস্তাফিজ। ৪ ওভারে স্রেফ ৬ রান খরচায় তিনি শিকার করেন ২ উইকেট। আগের কীর্তিতেও ছিল অভিজ্ঞ এই বাঁহাতি পেসারের নাম—রিশাদ হোসেন ও তানজিম হাসান সাকিবের সঙ্গে। গত বছরের জুনে কিংস্টাউনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। একই ম্যাচে ৪ ওভারে দুটি মেডেনসহ ৭ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ডানহাতি পেসার তানজিম। এর আগের মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে প্রেইরি ভিউতে ৪ ওভারে একটি মেডেনসহ ৭ রানে ১ উইকেট শিকার করেছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ।

* এই সংস্করণে চারটি ম্যাচে পূর্ণ কোটা বোলিং করে ১০ রানের কম খরচ করলেন মোস্তাফিজ। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এমন রেকর্ড নেই আর কোনো বোলারের। তিনটি করে ম্যাচে ১০ রানের কম খরচ করেছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার ও পাকিস্তানের ইমাদ ওয়াসিম।

* বাংলাদেশের প্রথম ওপেনার হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে একাধিক পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেললেন পারভেজ। তিনি ৩৯ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় করেন অপরাজিত ৫৬ রান। গত জুনে লাহোরে ৩৪ বলে ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *