সর্বশেষ

সিনেমা নয়, বাস্তব জীবনের ঘ;নিষ্ঠ মুহুর্ত ভাইরাল টাইটানিকের জ্যাক ও রোজের

বিশ্ববিখ্যাত ছবি ‘টাইটানিক’। এ ছবির পর্দার জ্যাক ও রোজ শুধু সিনেমায় নয়, বাস্তব জীবনেও গড়ে তুলেছেন এক গভীর বন্ধুত্ব। তারা হলেন কেট উইন্সলেট ও লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। ১৯৯৭ সালে ‘টাইটানিক’ ছবির শুটিং সেটে প্রথমবার দেখা হয় তাদের। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ২৬ বছর ধরে ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে পথ চলছেন তারা।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে কেট উইন্সলেট জানিয়েছেন, দীর্ঘ এই সময়েও তারা একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন নিয়মিত।

‘ওর ফোন এলে আমি কখনও তা পরের দিনের জন্য রাখি না’- এই কথার মাধ্যমে কেট তাদের বন্ধুত্বের গভীরতা বুঝিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মাঝে যেটা আছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। আমার কাছে সে সত্যিই অসাধারণ কিছু।’

এই উক্তিগুলো উঠে এসেছে ‘টাইটানিক: হৃদয়ের গল্প’ নামের একটি তথ্যচিত্রে। সেটি ২০২৩ সালে সিনেমার ৪কে সংস্করণের অতিরিক্ত ডিস্কে যুক্ত করা হয়। এতে কেট ছাড়াও পরিচালক জেমস ক্যামেরন ও আরও অনেকে তাদের স্মৃতিচারণ করেছেন।

‘যে বন্ধন সময়কে ছাপিয়ে যায়, সেই সম্পর্কই প্রকৃত বন্ধুত্ব’ বলেও দাবি করেন কেট। তিনি আরও জানান, ‘এত বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের মধ্যে যে স্মৃতি, যে অনুভব তা কখনও মুছে যায়নি।’

তাদের এই বন্ধুত্ব এতটাই দৃঢ় ছিল যে, ২০১২ সালে কেট উইন্সলেট বিয়ে করার সময় লিওনার্দো নিজ হাতে তাকে বিয়ের মঞ্চে নিয়ে যান। কেটের স্বামী এডওয়ার্ড অ্যাবেল স্মিথ হচ্ছেন বিখ্যাত শিল্পপতি রিচার্ড ব্রানসনের ভাগ্নে। এই বিয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত ব্যক্তিগত, যেখানে খুব অল্প সংখ্যক ঘনিষ্ঠ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

২০১৭ সালে কেটের মা ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে মারা যাওয়ার পর, কেট ও লিওনার্দো মিলে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেন। তারা এক ভাগ্যবান ভক্তের সঙ্গে ‘জ্যাক ও রোজ’–এর মতো একটি ব্যক্তিগত ডিনারের আয়োজন করেন, যা নিলামে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে বিক্রি হয়। এই অর্থ লিওনার্দোর পরিবেশবাদী তহবিল এবং ব্রিটিশ এক মা জেমা নাটলের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হয়।

দুঃখজনকভাবে, এক বছর পরেই জেমা নাটল ক্যানসারের কাছে হেরে যান। তার শেষকৃত্যে কেটসহ শত শত মানুষ অংশ নেন।

বর্তমানে লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও পঞ্চাশ বছর বয়সী, বসবাস করছেন হলিউডে। তিনি একাধারে একজন খ্যাতিমান অভিনেতা ও পরিবেশকর্মী। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’ ছবির জন্য তিনি অস্কার জয় করেন। সামাজিক মাধ্যমে তিনি নিয়মিত পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার পক্ষে সচেতনতা তৈরি করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *