Breaking News

পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে অদ্ভুত ‘টুপি’

অন্য পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে অজানা প্রশ্নের উত্তর জেনে লেখা বা অন্যের খাতা দেখে হুবহু লেখা— এগুলি পরীক্ষাকেন্দ্রের খুব সাধারণ দৃশ্য। সেই সময় পরীক্ষার্থীদের সামলানোই কঠিন হয়ে পড়ে সেই কেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকার। তাই ‘নকল’ করা ঠেকাতে শেষমেশ ‘টুপি’ পরার নির্দেশ দিলেন একটি কলেজের শিক্ষিকা। ফিলিপিন্সের লেগাজপি সিটির ঘটনা এটি।

পরীক্ষা দেওয়ার সময় কেন্দ্রে উপস্থিত সকল পরীক্ষার্থীকে টুপি বা ‘হেড গিয়ার’ পরে পরীক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দেন এক কলেজের শিক্ষিকা মেরি জয় ম্যানডেন ওর্টিজ। পরীক্ষা দেওয়ার সময় যেন নকল করতে না পারা যায়, তাই এই নির্দেশ।

মেরি জানিয়েছেন, তাদের কলেজে মিড টার্ম পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে তিনি ছাত্রছাত্রীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এমন এক ধরনের টুপি বা মুখোশ বানাতে, যা পরলে ডান দিক-বাঁ দিক— কোনও দিকেই তাকানো যাবে না।

তিনি জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছা মতো আকার দিতে পারেন, আঁকিবুকিও করতে পারেন সেই ‘হেডগিয়ার’-এ। পরীক্ষার ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে যান শিক্ষিকা। পরীক্ষার্থীদের কেউ কেউ মাথায় ডিম রাখার বাক্স চাপিয়ে এসেছেন, কেউ কেউ আবার তাঁদের প্রিয় কার্টুন চরিত্র এঁকে নিয়ে এসেছেন সেই টুপিতে। কারও মাথায় কার্ডবোর্ড, তো কারও মাথায় অন্যান্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস দিয়ে বানানো ‘হেডগিয়ার’।

এক সাক্ষাৎকারে মেরি জানান, ২০১৩ সালে তাইল্যান্ডের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীদের নকল করা থেকে বাধা দিতে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল। তবে সে ক্ষেত্রে কোনও মুখোশ নয়, ‘ইয়ার ফ্ল্যাপস’ ব্যবহার করেছিলেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষার্থীদের মাথার দু’পাশ থেকে কাগজ দিয়ে লম্বা কানের মতো জিনিস বানানো হয়েছিল যা পরে আশপাশে তাকালে কিছু দেখা যাবে না।

ঘরভর্তি পরীক্ষার্থীদের ছবি নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেন মেরি। সমাজমাধ্যমে অদ্ভুত টুপি পরা এই ছবি প্রকাশ্যে আসায় নেটিজেনরা এই বিষয়ে কম আগ্রহ দেখাননি। অনেকে এই অভিনব পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন, নিন্দাও করেছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *