সর্বশেষ

এমএমএস তো দেখে ফেলেছি, ভক্তদের কটাক্ষের শিকার অঞ্জলি

পান থেকে চুন খসলে তাঁকে নিয়ে গুজব রটে। এ বার অবশ্য ঢাকা পোশাক পরে, সেজেগুজেই কটু কথা শুনলেন অঞ্জলি অরোরা। এমএমএস কাণ্ডের জের এখনও চলছে? বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়ে না। ফোটোশুটের ছবি হোক বা নিজস্বী— নেটমাধ্যমে কোনও কিছু পোস্ট করলেই শিরোনামে চলে আসেন অঞ্জলি অরোরা। দীপাবলির মরসুমেও ফের চর্চায় তিনি। তবে না, এ বার কোনও চোখ টাটানো পোশাকে নয়। সাবেক সাজে লাল বাঁধনির ওড়না গায়ে জড়িয়ে আইভরি সালওয়ার কামিজে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন প্রাক্তন ‘লক আপ’ প্রতিযোগী।

হাতে ছিল মাটির প্রদীপ ভর্তি ডালা। আলোর উৎসবে পূজারিনি সেজে গাইছিলেন গান অঞ্জলি, ‘জ্বলতে দিয়ে’। সলমন খান অভিনীত ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবির সেই গান অনেকেরই মনে গেঁথে আছে। কিন্তু তাতেও সমস্যা। হঠাৎ এই মূর্তি? ‘সাবিত্রী’ সাজছেন? শুনতে হল তাঁকে।

মঙ্গলবার অঞ্জলির পোস্ট দেখে কটাক্ষের বন্যা। পাশাপাশি হাসাহাসিও হল অনেক। কী করেছেন অঞ্জলি? দেখা যায়, নিজের বারান্দায় এক থালা জ্বলন্ত মৃৎপ্রদীপ নামিয়ে রেখে সকলকে দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে নিন্দকদের তির এসে আছড়ে পড়ল একে একে। কারও বক্তব্য, “এমএমএস-কাণ্ডের পর সতী সাবিত্রী সাজার চেষ্টা করবেন না।” কেউ মন্তব্য করলেন, “তোমার এমএমএস কিন্তু দেখে ফেলেছি।” যদিও কটাক্ষবাণে কোনও দিনই বিচলিত হন না অঞ্জলি। নেটদুনিয়ায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যা কম নয়। শুভেচ্ছাও কম পেলেন না।

অঞ্জলি আগেও সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, এমএমএসে ভাইরাল হওয়া তরুণী তিনি ছিলেন না। তাঁকে অনুমানের বশে হেনস্থা করা হয়েছে। এতে তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলেছে বলেও অভিযোগ অভিনেত্রীর। কিন্তু নিন্দকরা পিছু ছাড়েন না। কিছু দিন আগেও উৎসবের আমেজে আশা ভোঁসলের গানে ঠোঁট মিলিয়ে নেচেছিলেন যখন, অনেক কটু কথা ভেসে এসেছিল।

অঞ্জলির পোশাক নাকি ঠিক ছিল না। লাল-কমলা ফিতে দেওয়া ড্রেসের গলা এতটাই বড় যে, ব;ক্ষসম্পদ উপচে উঠছিল প্রাক্তন বিগ বস তারকার! সে দিকেই নজর করেছিলেন এক দল। নাচের ভিডিও কেমন হয়েছে, তার চেয়ে বেশি চর্চায় চলে এসেছিল অঞ্জ;লির পোশাক, তাঁর উন্মুক্ত ব;ক্ষ বিভাজিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *