পাকিস্তানি আম্পায়ারদের সুনাম বাড়ানোর পেছনে আলিম দারের পাশাপাশি অবদান রেখেছিলেন আসাদ রউফ। ২০২২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
আম্পায়ারিং কেরিয়ারে ৬৪টি টেস্ট, ১৩৯ ওয়ানডে ও ২৮ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। টেস্টে ৪৯টি ম্যাচে অনফিল্ড আম্পায়ার ও ১৫টিতে টিভি আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। মাঠে কর্তব্যে থাকতেন অবিচল। তবুও একগুচ্ছ অভিযোগে বিদ্ধ তাঁর কেরিয়ার। বলা হয়, তিনিই ক্রিকেট ইতিহাসের সব থেকে বিতর্কিত আম্পায়ার।
পাকিস্তানি আম্পায়ারদের সুনাম বাড়ানোর পেছনে আলিম দারের পাশাপাশি অবদান রেখেছিলেন আসাদ রউফ। ২০২২ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর।
পাকিস্তানের ICC এলিট আম্পায়ার আসাদ রউফের জীবনে একাধিক বিতর্কিত অধ্যায় রয়েছে। ২১ বছর বয়সি এক মডেলের সঙ্গে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন তিনি। ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই ছিল না বলেও দাবি করেন আসাদ। ওই তরুণী নাকি ছিলেন তাঁর ফ্যানগার্ল!
ওদিকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের যে ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তা কিন্তু একেবারেই অন্য কথা বলছিল। আসাদ বলেছিলেন, ‘আমার বয়স ৫৬ বছর। আমি বিবাহিত এবং সুখী। আমার দুই সন্তানও রয়েছে। আমি কি এই বয়সে আর কাউকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিতে পারি?’
আরও পড়ুন- ইচ্ছে করে ছেলের বউয়ের পার্সেল খুলতেন! জব্দ করতে এমন জিনিস অর্ডার দিলেন পুত্রবধূ, সাংঘাতিক
২০০৪ সাল থেকে ওয়ানডেতে প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার হন তিনি। ২০০৫ সালে প্রথম টেস্ট ম্যাচ পরিচালনা করার এক বছর পরই আইসিসি এলিট প্যানেলে যুক্ত হন তিনি। তবে ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় এলিট প্যানেল আম্পায়ারের তালিকা থেকে রউফকে বাদ দেয় আইসিসি।
আম্পায়ারিং কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর পাকিস্তানের লন্ডা বাজারে একটা ছোট জুতোর দোকান তিনি চালাতেন বলেও শোনা যায়। এমনকী পেট চালাতে শেষ জীবনে কাপড়ের ব্যবসাও করেছিলেন বলেও জানা যায়।