একধারে টানা তিনঘন্টা ধ’র্ষ’নের পর, যখন ওরা চারজন বুঝতে পারলো ওদের চাহিদা শেষ! ঠিক তখনই ওরা চিন্তায় পড়ে গেলো, “এই মেয়েটাকে এখন কী করা যেতে পারে?”
সর্বপ্রথম আবিদ ই মুখ খুললঃ
—- দোস্ত, রাগের মাথায় তো এসব করে ফেললাম! এখন এর কি করবো?
রকিঃ এখানেই ফেলে চলে যাই।
রাফসানঃ রকি ঠিক বলেছে। একে দেখেই মনে হচ্ছে, ওর আর ওঠার শক্তি নেই। এখানেই মরে যাবে!
জনিঃ কিন্তু যদি কোনো মানুষ এখানে আসে অথবা যদি ওই কোনোমতে বেঁচে যায়, তবে আমাদের কী হবে “একবার ভেবে দেখেছিস?
রকিঃ তাহলে কী করবো, তাড়াতাড়ি ঠিক কর?
জনিঃ এখানেই মাটিচাপা দিয়ে দেই। তোরা কী বলিস?
রাফসানঃ তাই কর, ওকে মেরে ফেল। কিন্তু কে মা’রবি ওকে?
ওদের মধ্যে সবচেয়ে সাহসী ও সাইকো হলো জনি। ওর আবার কথায় কথায় মা*রা*মা*রি, খু’ন’খা’রাপি করার অ’ভ্যাস! সব সময় দাঙ্গা ফ্যাসাদের আগে ওই থাকে, এবারও ব্যতিক্রম হল না! শেষে জনি ই বললঃ
—- আমি যাচ্ছি।
..
..
একথা বলেই, জনি চলে গেল তুলির কাছে! ততক্ষণ তুলির একটু জ্ঞান ফিরেছে। অবশ্য এতক্ষণ তুলির চোখ বন্ধ থাকলেও, ওদের সমস্ত কথায় ওর ব্রেন পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল!
অতপর তুলি চোখ মেলে তাকিয়ে দেখে, জনি ওর দিকেই এগিয়ে আসছে! তখন তুলি কোনোরকম বিড়বিড় করে বললঃ
— প্লিজ আমাকে মারবেন না। আমি কথা দিচ্ছি, আপনাদের কারো বিরুদ্ধে আমি কিছুই করবো না। আমাকে যেতে দিন, প্লিজ প্লিজ….
তুলি কথা বলতে বলতে বসার চেষ্টা করে এবং সমস্ত শক্তি দিয়ে দাঁড়াবার চেষ্টাও করে, কিন্তু না! ও পারে না, কারণ ততক্ষণে জনি ওর কাছে এসে কাঁধের উপর এক পা দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়! আর খুব তীক্ষ্ণ ও হিং’স্র কণ্ঠে বলেঃ
— তুই যে আমাদের জন্য বড় বি’পদ!
তুলিঃ আমি কথা দিচ্ছি, আমার দ্বারা আপনাদের কোনো বিপদ হবে না। আমি কাউকে কিছু বলবও না, এ নিয়ে আর কোনো কিছু হবেনা। প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
জনিঃ তোর কথায় আমাদের কোনো বিশ্বাস নেই!তোকে তো ম*রতেই হবে!
তুলির সাথে জনি কথা বলতেছিল আর চোখের ইশারায় রকিকে দিয়ে একটা বড় পাথর চেয়ে নিল। তুলি দেখতে পাচ্ছিল, সেই বড় পাথরের চাঁইটি ওর মাথা বড় বড় ছুটে আসছে! তাই সে চোখ বন্ধ করে বাঁচার চেষ্টাতে আকুতির সুরে বলে উঠলোঃ
—– প্লি…..
কিন্তু না, আর কিছু বলতে পারলো না। ততক্ষণে জনি ওর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করেছে। তুলির মাথা ফেটে চৌচির হয়ে গেছে! সম্ভবত কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ম*রেও গেলো।
ওরা চারজন মিলে, তুলিকে ওখানেই মাটিচাপা দি