স্বামী যদি না পারে আমি অন্য পুরুষের কাছে যাবঃ স্বস্তিকা মুখার্জি

স্বামী যদি না পারে আমি অন্য পুরুষের কাছে যাবঃ স্বস্তিকা মুখার্জি

ব্লাউজের বোতাম খুললে আর ব্রা দেখালেই সাহসী হয় না বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপ্যাধায়। আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি যে ধরনের ছবি করেছি সেগুলো শুধু আমি পিঠ দেখিয়েছি বা ব্লাউজের বোতাম খুলেছি, ব্রা পরে দাঁড়িয়েছি বলেই সাংঘাতিক সাহস দেখিয়েছি তা নয়। চরিত্রগুলো করার মধ্যেও এক ধরনের সাহসিকতা আছে। সেখানে আমি চরিত্র হিসেবে বলছি, ‘ আমার স্বামী যদি আমার শরীরের খিদে না মেটাতে পারে আমি অন্য পুরুষের কাছে যাব’। একটা চরিত্রর এই কথা সমাজের সঙ্গে মেলে না। আমার সমস্ত ছবি আমি আমার বাবাকে দেখিয়েছি এবং বাবা কোনওদিন বলেনি এই দৃশ্য কেন করলি? ওকে কেন চুমু খেলি? প্যান্টি কেন দেখা গেল? তার পরে যদি মানুষের মনে হয় ওর প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে ও আবার অভিনয় করছে কেন? সেটা তাদের সমস্যা। আমার বাবার কথা আমার কাছে শেষ কথা।

তিনি বলেন, আমরা ভাবি একজন হস্টেস কেবল দেহ বিক্রিই করে। একজন হস্টেস তার ক্লায়েন্টকে সেক্সুয়ালি এন্টারটেন করা ছাড়া আর কী করবে? এটা ভুল।

পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শাহজাহান রিজেন্সি’ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি তো আগেই বললাম। চিত্রনাট্য খুব জোরালো। এত লেয়ারড চরিত্র। কিছু রেখে দিলাম। কিছু ঢেকে রাখলাম এমন চরিত্র নয়। সৃজিত মুখোপাধ্যায় না হয়ে অন্য কোনোও পরিচালক এই চরিত্রটা দিলেও আমি কাজটা করতাম। কাজটা করার পর নিজেরই এত ভাল লেগেছে! টেকনিশিয়ানদের মধ্যে অনেকে এই ছবিটা দেখে বেশ কয়েক জন বলেছে কমলিনীর জন্য তাঁদের কষ্ট হয়েছে। এমন সব দৃশ্য আছে… পারফরমার হিসেবে আমি তৃপ্ত!

ছবিটি সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, আমি সৃজিত, ওর ইউনিটের লোক সকলেই ভাবতাম এরকম একজন মহিলার পরিণতি এত মর্মান্তিক কেন হবে? আসলে এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই। আমরা সব সময় বলি যারা আত্মহত্যা করে তারা কাপুরুষ। ভীতু। এ সব বড় বড় ডায়লগ বলে কোনও লাভ নেই। মানুষ এমন এক মানসিক পরিস্থিতিতে পৌঁছয়, এমন যন্ত্রণা পায়, যে সেই মুহূর্তে সুইসাইড করে। কেউ এক মাস ধরে প্ল্যান করে মরে না। আর যারা প্ল্যান করে তারা কোনওদিন মরে না। আমি এই বিষয়টা নিয়ে পড়াশুনা করেছি বলেই বলছি, যারা গায়ে আগুন দিয়ে মৃত্যু চায় তারা আগুন লাগার পর মুহূর্তেই কিন্তু দরজা খুলে বেরোতে চায়। আবার বাঁচতে চায়। কে বলবে? এই মুহূর্তের বদলে সব শেষ হয়ে যায়! রিগ্রেট করার সময় ও পায় না। কমলিনীও জীবনে লড়াই করতে করতে একদিন তো ক্লান্ত হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *